Karmai Dharma Scheme- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নয়া ঘোষণা সমস্ত রাজ্যবাসীর জন্য রাজ্য সরকারের নয়া প্রকল্প সূচনা হয়েছে যে প্রকল্পের নাম কর্মই ধর্ম (Karmai Dharma)। এই প্রকল্পে দু লক্ষ বাইক দেবে রাজ্য সরকার। সরকারের এহেন প্রস্তাবে জনগণ বেজায় খুশি। যেভাবে দিনে দিনে রাজ্যে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে তাতে এই রকম প্রকল্পই ভরসা ছাড়া আর উপায় নেই, সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো পর্যন্ত থমকে রয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যে অতি করুন পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।
আসন্ন লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে তাই জনগণের মন পেতে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করে চলেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা কারা এই কর্মই ধর্ম (WB Karmai Dharma Scheme) প্রকল্পের আওতায় আবেদন করতে পারেন। বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে যাদের যাতায়াতে সমস্যা রয়েছে, তা সে শিক্ষার্থী হোক বা কোন কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিই হোক। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় তাঁরাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন : Nabanna Scholarship 2024 – প্রত্যেক পড়ুয়ারা পাবেন 10,000 টাকা, রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ
Karmai Dharma Scheme-এ কিভাবে আবেদন করবেন?
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মোটরবাইক কিংবা স্কুটি যাতায়াতের এক সহজ মাধ্যম, খুব সহজেই একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছানো যায়। এমন সমস্যায় যদি আপনাকে প্রতিনিয়ত পড়তে হয় তাহলে এই কর্মই ধর্ম (Karmai Dharma Scheme 2024) প্রকল্প শুধুমাত্র আপনার জন্যই। সত্ত্বর আবেদন করে ফেলুন এই প্রকল্পে। অফলাইনের মাধ্যমে এই প্রকল্পে আবেদন করতে হবে। এই প্রকল্পের আবেদন ফর্মটি পাওয়া যাবে যে কোন পৌরসভা কিংবা পঞ্চায়েত অফিস থেকে।
Karmai Dharma Scheme-এ আবেদনের যোগ্যতা
- মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হতে হবে।
- বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত কর্মীরা কিংবা বেকার যুবক-যুবতীরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
- আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
আরও পড়ুন : Somobyathi Prakalpa : প্রিয়জনের শেষকৃত্যে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার! আবেদন করলেই পাবেন 2 হাজার টাকা
Karmai Dharma Scheme-এ প্রয়োজনীয় নথি
- আবেদনকারীর আধার কার্ড প্রয়োজন।
- আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ পত্র প্রয়োজন।
- আবেদনকারীর রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটো প্রয়োজন।
যাদের যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে তাঁরা আজই এই প্রকল্পে আবেদন করতে ভুলবেন না। আশা করা যায় অচিরেই তাদের এই সমস্যার সমাধান করবে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার সদা সর্বদাই রাজ্যবাসীর সেবায় নিযুক্ত। ফর্মটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথি সমেত পুনরায় এটি জমা দিতে হবে। তবে জমা দেওয়ার আগে একবার জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে ওই পৌরসভা এলাকায় কিংবা পঞ্চায়েত এলাকায় এই সুবিধা উপলব্ধ কিনা। আরো বিশদে কিছু জানতে হলে এই প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিতে হবে।