Ujjwala Yojana : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক স্কীম এনেছেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Viswakarma Yojana), সূর্যোদয় যোজনা (PM Suryodaya Yojana), কিষান যোজনা (PM Kishan Yojana) ইত্যাদি। এগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল উজ্জ্বলা যোজনা (PM Ujjwala Yojana)। ২০১৬ সালের ১লা মে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দারিদ্র সীমার নিচে অর্থাৎ বিপিএল তালিকাভূক্ত পরিবারের মহিলাদের বিনামূল্যে এলপিজি (Ujjwala Yojana Gas) সংযোগ যোগান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
Ujjwala Yojana-তে বায়োমেট্রিক আপডেটের শেষ দিন কবে?
এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (PM Ujjwala Yojana), মূলত দারিদ্র সীমার নিচে থাকা পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এই যোজনার মুখ্য উদ্দেশ্য। সারা দেশব্যাপী এই যোজনা অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।বিগত কয়েকদিন আগে এই যোজনার একটি বিশেষ নির্দেশিকাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। আসুন জানি সেই নির্দেশিকা সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল উজ্জ্বলা যোজনার (Ujjwala Yojana) অন্তর্গত সমস্ত গ্রাহকদের আঁধার তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্যগুলিও সংগ্রহ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্য সংগ্রহ করবার দায়িত্ব দিয়েছিল তেল সংস্থাগুলিকে। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর তেল সংস্থার কর্মীদের মধ্যে ও জনসাধারণের মধ্যেও অসন্তোষ তীব্র রূপ নিয়েছিল। এই সমস্ত তথ্যের জন্য সময়ও নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছিল, গত ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ছিল সেই সুযোগ।
আরও পড়ুন : PM Kishan Yojana : কিষান যোজনায় নতুন নিয়ম, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা পাবেন দ্বিগুণ টাকা! জেনে নিন
নতুন বছরের আগেই সমস্ত তথ্য যাচাই করে নিতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তেল সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল সরাসরি সরকারের তরফ থেকে তাঁদের কাছে কোন নির্দেশ নামা দেওয়া হয়নি। তাই এই নিয়ম জারি হলে বিপাকে পড়তেন প্রবীণ ব্যক্তিরাই, এক চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হত তাঁদের । এমনটাই মতামত দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞ মহল। গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই বায়োমেট্রিক তথ্য জমা করবার জন্য সরকারের তরফ থেকে নানাবিধ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল, যে সমস্ত গ্যাস ডেলিভারি বয় গ্যাস ডেলিভার করবেন তাদের কাছেও গ্রাহকেরা চাইলে বায়োমেট্রিক তথ্য জমা করতে পারতেন, এছাড়াও কোন গ্রাহক চাইলেই সরাসরি গ্যাস অফিসে গিয়েও নিজের বায়োমেট্রিক তথ্য জমা করতে পারতেন। রাখা হয়েছিল এক বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা যেখানে উজ্জ্বলা যোজনা নিয়ে প্রচার চালানো হত এবং কোন গ্রাহক চাইলে সেই গাড়িতে গিয়েও নিজের বায়োমেট্রিক তথ্য জমা করতে পারতেন। অল্প সময়ের মধ্যে গোটা ভারতবর্ষের মানুষের বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল নানান এলপিজি ডিলার্স এসোসিয়েশনের মধ্যে। বিক্রেতাদের ওপর বায়োমেট্রিক যন্ত্র কেনারও একটি আর্থিক চাপ এসে পড়েছিল, যার ফলে বিক্রেতা এবং গ্রাহক উভয়কেই এক চূড়ান্ত হয়রানির সম্মুখীন হতে হত।
আরও পড়ুন : PM Vishwakarma Yojana : এই কাগজ না থাকলেই বিপদ! ঢুকবে না বিশ্বকর্মা যোজনার টাকা