Madhyamik Exam 2024 : জট কাটলো না মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচির। ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, হাতে রয়েছে আর মাত্র কটা দিন। এখনো পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা অপেক্ষায় রয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত বদলের। এতদিন পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর সময়সূচি ছিল সকাল ১১:৪৫ মিনিট, এ বছর থেকে পরীক্ষা শুরু হবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এতদিন পর্যন্ত শুরু হতো বেলা ১২টা থেকে, তার সময়সূচিতেও ঘটেছে পরিবর্তন। শুরু হতে চলেছে সকাল ৯ঃ৪৫ মিনিট থেকে।
Madhyamik Exam 2024-এর সময়সূচী নিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মতামত
পর্ষদ এবং সংসদের যৌথ সিদ্ধান্তকে আপত্তি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরাও। তাঁরা সবাই লিখিত একটি আবেদন জমা দিয়েছেন যাতে পুনরায় সময়সূচি পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে।মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় পরীক্ষা ৯:৪৫ মিনিট থেকে শুরু হওয়ায় শিক্ষকদের সকাল ৮টার মধ্যে স্কুলে পৌঁছে যাবার নির্দেশ দিয়েছেন । এই নিয়ে উচ্চস্তরে বৈঠকও হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উচ্চ স্তরের আধিকারিকরা ও নবান্ন রাজ্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে বৈঠকের পর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের নিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।
সে নির্দেশিকাকে ঘিরে মতবিরোধ দেখা গিয়েছে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য যে সমস্ত শিক্ষকদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলে পৌঁছাতে হয় তাঁরা আদৌ সঠিক সময় পৌঁছতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। শীতকালে যে পরিমান ঘন কুয়াশা হচ্ছে তার দরুন পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেলে পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে শুরু করা সম্ভব হবে না। এছাড়াও রয়েছে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলিতে প্রশ্নপত্র পৌঁছানোর সমস্যা, কোনো কারণে দেরি হলে সেক্ষেত্রেও পরীক্ষা সঠিক সময়ে শুরু হওয়া মুশকিল আছে। এহেন নানান সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনার দরুন অবিলম্বে পরীক্ষার সময়সূচী পিছনের আবেদন করেছেন তাঁরা।
Madhyamik Exam 2024-এর সময়সূচী নিয়ে ABTA-র মতামত
এবিটিএ অর্থাৎ অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয়া হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে, যেখানে সকলে আবেদন করেছেন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে পরীক্ষা শুরু করা হোক ১০টা ৪৫ মিনিটে। আগামী দিনে পর্ষদের পক্ষ থেকে নয়া সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন সমস্ত শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আশা করা হচ্ছে শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীর এই আবেদন পর্ষদের পক্ষ থেকে নিশ্চয়ই বিচার বিবেচনা করে দেখা হবে।